ইসলাহী খুতবাহ (শাইখুল
ইসলাম আল্লামা তকী উসমানী)
ইসলাহী খুতুবাত মুসলিম বিশ্বের প্রখ্যাত আলিম, গবেষক, লেখক, মনীষী, আল্লাহর পথের এক
অমর দাঈ শাইখুল ইসলাম জাস্টিস আল্লামা তাকী ওসমানীর একগুচ্ছ বয়ান সংকলন। নিচে তার বয়ানের
কিছু অংশ তুলে ধরা হল।
...................................................................................................................
ইসলাম বলে তোমরা বুদ্ধির ব্যবহার করবে,তবে ওই সীমানা
পর্যন্ত যেখানে পর্যন্ত তার কর্মশক্তি আছে, কারন মানুষের একটা পর্যায় এমন আসে যেখানে বুদ্ধি হয়ে পড়ে
অকর্মা,বরং ভুল উত্তর দিতে শুরু করে।যে সকল বিষয়
আমাদের আকলের মাঝে ফিট করা হয়নি,সে বিষয়গুলোর
সম্পর্কে জানতে আল্লাহ আর একটি মাধ্যম দান করেছেন,যাকে বলা হয় ওহীর
জ্ঞান বা আসমানী শিক্ষা।ওহীর জ্ঞানের
সীমানাতে যদি বুদ্ধিকে ব্যভার করা হয়,তবে সে ভুল উত্তর
দিতে শুরু করবে।
বুদ্ধির কর্মক্ষেত্র (৪ মেগা)
............................................................................................................
মিরাজের ঘটনার পর আঠার বছর পর্যন্ত হুজুর (সাঃ) জীবিত ছিলেন।এই আঠার বছর কোথাও
একথার প্রমান নেই যে তিনি শবে মিরাজের ব্যাপারে বিশেষ কোনো নির্দেশ দিয়েছেন কিংবা
তা উদযাপনের প্রতি বিশেষ কোনো গু্রুত্ব দিয়েছেন।তার জামানায়ও এ
রাতে জাগরন গুরুত্বের সাথে সাব্যস্ত নয়।
রজব মাস কিছু ভ্রান্তচিন্তার মূলউৎপাটন (৬৪৯ কেবি)
............................................................................................................
নেক কাজের প্রতিজোগিতা প্রিয় ও প্রশংসনীয়।সময় সুযোগের
অপেক্ষায় বসে থেকো না,বরং যখন যে নেক
কাজের আকাঙ্খা মনে জাগে তা চট জলদি করে নাও।বিলম্ব করে আগামীকালের জন্য ফেলে রেখো না।
নেক কাজে বিলম্ব করতে নেই (২ মেগাবাইট)
............................................................................................................
বর্তমান সমাজে সুপারিশ এক প্রকার অভিসাপে পরিণত হয়েছে।বর্তমানে অন্যায়
সুপারিশ ব্যতীত কোন কাজ হয় না।কারন,জনগনকে সুপারিশের
বিধিবিধান ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে,শরীয়তের
চাহিদাসমূহ মন থেকে মুছে দেয়া হয়েছে।অতএব,এসব বিধানের প্রতি
খেয়াল রেখে সুপারিশ করা হলে তা জায়েয হবে অন্যথায় নয়।
সুপারিশ (১ মেগাবাইট)
............................................................................................................
রোজা অর্থ কী? রোজার অর্থ কিছু
সময় এর জন্য খানা পিনা ও প্রবৃত্তির চাহিদা পূরন থেকে বিরত থাকা।রোজার সময় এই
তিনতি জিনিস অবশ্যি পরিত্যাগ করতে হবে।এবার লক্ষ করুন কিছু হালাল জিনিষ আপনি রোজার সময় করা থেকে
বিরত থাকলেন,যেমন-বৈধ পদ্ধতিতে স্বামী স্ত্রীর
প্রবৃত্তির চাহিদা পূরন করা।কিন্তু যেগুলো পূর্ব থেকে হারাম ছিল,যেমন –মিথ্যা কথা বলা,গীবত করা,কুদৃষ্টি দেয়া
এগুলো পুর্ব থেকেই হারাম ছিল।অথচ এখন রোজাও রাখা হচ্ছে,কূদৃষ্টিত্ত দেয়া
হচ্ছে।রোজাদার,অথচ সময় কাটানোর
নামে নোংরা ফ্লিমও দেখা হচ্ছে।তাহলে আমার প্রশ্ন,এটা রোজা হল কি?
রোজার দাবী কি? (২ মেগাবাইট)
............................................................................................................
আধুনিক সভ্যতার বিস্ময়কর দর্শন হচ্ছে- নারী যদি স্বগৃহে
নিজের জন্য, নিজের স্বামীর জন্য,মাতা পিতা ভাই-বোন,সন্তান ও সন্ততির
জন্য রান্না বান্না করে তবে এটা হচ্ছে বন্দিত্ব। কিন্তু সেই নারী
যখন অপরিচিত পুরুষের খাবার পরিবেশন করে,তাদের কক্ষ ঝাড়ু
দেয়,হোটেলে আর বিমানে তাদের আপ্যায়ন করে,মার্কেটে মুচকি
হাসির মাধ্যমে গ্রাহক আকর্ষন করে, অফিসে মিষ্ট
ভাষনের মাধ্যমে নিজ অফিসারের চিত্তমুগ্ধ করে,তখন তাকে বলা হয়
স্বাধীনতা আর প্রগতি,কিন্তু এ কেমন
স্বাধীনতা? এ কেমন আত্নমর্যাদাবোধ।
নারী স্বাধীনতার ধোকা (৩মেগাবাইট)
............................................................................................................
দ্বীনের সকল রহস্য এই যে বিশেষ কোনো আমলের নাম দ্বীন নয়।নিজ চাহিদা পূর্ণ
করার নামও দ্বীন নয়।নিজ অভ্যাসগুলো
আদায় করার নামও দ্বীন নয়।বরং দ্বীন মানার
জিন্দেগীর নাম।আল্লাহ যেমনটি
বলেন তেমনটি করার নাম দ্বীন। তার কাছে নিজেকে পুরোপুরি অর্পন করার নাম দ্বীন ।
দ্বীনঃসন্তষ্টচিত্তে মানারজিন্দেগির নাম (২মেগাবাইট)
............................................................................................................
বিদআতের জঘ্ন্যতম দিক হল এই যে মানুষ নিজেই দ্বীনের
আবিস্কারক হয়ে যায়।অথচ এই দ্বীনের
আবিষ্কারক হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ তাআলা।বিদাতকারী কেমন যেন পর্দার আড়াল থেকে একথার দাবী করে যে,আমি যা বলেছি তাই
দ্বীন। এই বিষয়ে আমি
আল্লাহ ও তার রাসূল এর চেয়ে বেশি জানি।সাহাবায়ে কেরামের চেয়েও ঢের বেশি আমার জানা।মূলত এহেহ দাবি
শরীয়তসন্মত নয়,বরং নফসের চাহিদা পূরন এই দাবির মূল কথা।
বিদআত (২মেগাবাইট)
............................................................................................................
একটি মেয়ে দুটো কথা উচ্চারনের মাধ্যমে একজন পুরুষের সাথে
সম্পর্ক স্থাপন করে।এই দুটো কথাকে
মেয়েটি এতটুকু সন্মান করে যে,
যার জন্য সে মাতা- পিতা ভাই বোন বংশ পরিবারসহ সবকিছুর মায়া
ত্যাগ করে একমাত্র স্বামীর জন্য হয়ে যায়।এরপর তার জন্য আসে
এক ন্তুন পরিবেশ,অপরিচিত ঘর।অজানা অচেনা
মানুষদের সাথে সংসার পাতার জন্য সে অন্যের ঘরে আবদ্ধ হয়ে যায়।তবুও কি আমরা
নারীর এই ত্যাগের মূল্যায়ন করব না? অথচ বিধান যদি
উল্টা হত,পুরুষদের যদি বলা হত বিয়ের পর তোমারা
মাতা পিতা ছেড়ে সব পরিত্যাগ করে চলে যেতে হবে স্ত্রীর বাড়িতে,তখন তা কত কঠিন
হতো।অতএব তাদের সাথে
ভাল ব্যাবহার করা এবং তাদের কুরবানির মর্যাদা দেয়া পুরুষ সমাজের মানবিক কর্তব্য।
স্ত্রীর অধিকার ও তার মূল্যায়ন (৪ মেগাবাইট)
............................................................................................................
নারী যদি মনে করে আমিই হব সংসারের অভিভাবক-পরিচালক,পুরুষ হবে আমার
পরিচালনাধীন,তাহলে মনে রাখতে হবে এটা প্রাকৃ্তিক ও
স্বভাবজাত বিধির পরিপন্থী,শরিয়তের খেলাফ।যুক্তি তর্ক এবং
ইনসাফও স্বীকার করে না এমন সিদ্বান্ত।নারী যদি এমনটি
করে তাহলে সংসার বিরান হয়ে যাবে,নিশ্চিত ভেঙ্গে
পড়বে পারিবারিক কাঠামো।
স্বামীর মর্যাদা ও অধিকার (৫মেগাবাইট )
............................................................................................................
আজ আমদের অবস্থা হলো শত্রুর তোষামোদ করতে গিয়ে সবকিছু
উৎসর্গ করতে প্রস্তুত।মাথা থেকে পা
পর্যন্ত বিজাতীয় অনুকরন করে একথা প্রমান করে দিয়েছি যে আমারা তোমাদের একান্ত গোলাম।তবুও কিন্তু
প্রভুরা আমদের উপর সন্তষ্ট নয়।প্রতিদিন আমাদের
পেটাচ্ছে,কখনো ইসরাঈলে পেটাচ্ছে,কখনো অন্য কোন
দেশে পেটাচ্ছে।কোনো মুসলমান যখন
রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম এর সুন্নাত ও আদর্শ ছেড়ে দিবে,মনে রাখবে,তখন তার জন্য
অপমান আর ক্ষতি ছাড়া আর কিছু নেই।
সীরাতুন্নবী (সা) এর আয়নায় আমাদের জীবন (১ মেগাবাইট)
............................................................................................................
সীরাতুন্নবী রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম মাহফিলে আমরা
এমন কাজ করি যা সুন্নাতে রাসূল এর স্পষ্ট পরিপন্থি।মহানবী সাল্লাহু
আলাইহি ওসাল্লাম এর নাম উচ্চারিত হচ্ছে,তার শিক্ষা আদর্শ
এবং সুন্নাতসমূহের আলোচনা চলছে,কিন্তু কার্যত
আমারা তার শিক্ষা আদর্শ এর সাথে এবং হিদায়েতের সাথে উপহাস করছি।
সীরাতুন্নবী (সা) মাহফিল ও জলসা জুলূস (৮৭৬ কিলোবাইট)
............................................................................................................
বর্তমানে মূল্যবোধের পরিবর্তন ঘটছে,পরিবর্তন এসেছে
মানুষের চিন্তা চেতনায়।দুনিয়াতে যারা
প্রাচুর্যশীল,বড় চেয়ারের মালিক,যাদেরে কাএছে
সম্পদের পাহাড় মানুষের কাছে তাদের সন্মানেরে অভাব নেই।অন্যদিকে পার্থিব
দৃষ্টিতেযারা দূর্বল যাদের কোনো মর্যাদা নেই,স্বাভাবিক জীবন –যাপন করে আজ তারা
সকলের নিকট অবহেলিত।তাদের দিকে কেউ
চোখ তুলে তাকাতেও চায় না।সকলেই তাদেরকে
অবজ্ঞা করে।জেনে রাখুন ইসলাম
এটা মোটেও সমর্থন করে না।
গরীবদের অবজ্ঞা করো না (২ মেগাবাইট)
............................................................................................................
মানুষের প্রবৃত্তিশক্তি যা মানুষের মাঝে কাজের প্রতি স্পৃহা
যোগায়,তা পার্থিব মজা লাভে অভ্যস্ত।তাই মানুষ যে কাগে
বাহ্যিক আনন্দ পায় সেদিকেই তার মন ধাবিত হয়।নফস মানুষকে
এমনভাবে উৎসাহিত করে যে,কাজটি করো,আনন্দ অনুভব করবে।এই অবস্থায় মানুষ
যদি নফসকে লাগামহীন ছেড়ে দেয় এবং তার কাছে বশ্যতা স্বীকার করে তার কথামত কাজ করতে
থাকে,তাহলে মানুষ আর প্রকৃত মানুষ থাকে না,বরং সে মনুষ্যত্ব
হারিয়ে পশুর স্তরে নেমে যায়।
নফসের টাল বাহানা (৭৮০ কিলোবাইট)
............................................................................................................
মুজাহাদার অর্থ হচ্ছে নফসের চাহিদা সমূহের মোকাবিলা করে
আল্লাহর বিধান মত জীবন পরিচালনার ফিকির করা।একেই বলে মুজাহাদা।মুজাহাদা কেন করতে
হয়?এর প্রয়োজন কি?এর তাৎপর্য কি?এসব ভালভাবে বোঝার
জন্যে একটু বিস্তারিত আলোচনা করা দরকার।তাই আসুন এই বিষয়ে
কিছু আলোচনা করা যাক।
মুজাহাদা কেন প্রয়োজন? (৮৭০ কিলোবাইট)
............................................................................................................
অর্থনীতি ইসলামী শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।ইসলামী শিক্ষার এ
দিকটি বিস্তৃত,ইসলামী ফিক্বহ মন্থন করলেই আপনি তা
অনুধাবন করতে পারবেন।
যদি ইসলামী ফিক্বহের কোন গ্রন্থকে ভাগ করা হয়,তাহলে দুভাগিই
অর্থসংক্রান্ত।কিন্তু সর্বদা মনে
রাখতে হবে,ইসলামে অর্থনীতির গুরুত্ব থাকলেও এটা ইসলামের মূল বিষয় নয়।যেমন-অন্যান্য
মতবাদে অর্থনীতিই হচ্ছে মূল বিষইয়,ইসলামে কিন্তু
তেমন নয়।ইসলামে মৌলিক হলো
মানুষ পার্থিব জগতে বাস করলেও তার আসল ঠিকানা তার পার্থিজগত নয়।বরং পার্থিব জীবন
হলো আসল ঠিকানায় পৌছাবার একটি সিড়ি-একটি স্টেশন।চলার পথে এ
স্টেশনে সবটুকু শক্তি সামর্থ শেষ করে দেয়া ইসলামের মেযাজ পরিপন্থি।
অর্থনীতির আধুনিক জিজ্ঞাসা (২ মেগাবাইট)
............................................................................................................
কুরআন তিলাওয়াতের প্রতি আমাদের আগ্রহ নেই কেন?তিলাওয়াতের মাধ্যমে
আমরা নেক অর্জনের চেষ্টা করি না কেন?এর কারন হল নেক
দুনিয়ার কোনো সম্পদ নয়।দুনিয়ার কোন টাকা
পয়সাকে নেকী বলা হয় না।যদি বলা হয় “আলিফ-লাম- মীম”
পড়লে ত্রিশ টাকা পাবে তাহলে তার জন্য মনের আগ্রহ ও অনুভূতি সৃষ্টি হত।মানুষ এর জন্য
দৌড়ে আসতো।কিন্তু নেকীর কথা
বলাতে বিশেষ কোনো আকর্শন জাগে না ,কারন দুনিয়াতে
টাকার মূল্য জানা আছে নেকীর মূল্য জানা নাই,নেকীর সম্পদ তো
পার্থিব জীবনে অচল।এর মাধ্যমে কোনো
গাড়ী বাড়ী,বাংলো মিলবে না।তাই এর প্রতি
আকর্ষন জাগে না।যেদিন চোখ বন্ধ
হবে,প্রানপাখি উড়ে যাবে,জবাবদিহিতার জন্য
আল্লাহতাআলার সন্মুখে দন্ডায়মান হবে,সেদিন নেকীর কদর
বুঝে আসবে।
কুরানের মর্যাদা (১.১৪ মেগা)
............................................................................................................
মানুষের শরীর যেমনিভাবে রোগাক্রান্ত হয়,জ্বর,পেটের পীড়া,খিচিনি প্রভৃতি
ব্যধি দেহকে আক্রান্ত করে তেমনিভাবে আত্নাও রোগাক্রান্ত হয়।আত্নার ব্যাধি হলো,অংহকার,হিংসা ইত্যাদি।এসব রোগ আত্নাকে
আক্রান্ত করে অসুস্থ ও দূর্বল করে দেয়।
আত্মার বিভিন্ন ব্যাধি (১ মেগাবাইট)
............................................................................................................
পার্থিব জগতের এসব উপকরন,অর্থ-সম্পদ যতদিন
পর্যন্ত তোমাদের আশেপাশে থাকবে,ততদিন পর্যন্ত
কোনো শঙ্কা নেই।কারন এসব ধন সম্পদ
তোমাদের জীবনতরী চালাবে।কিন্তু যেদিন এসব
ধন সম্পদ তোমাদের চতুর্পাশ ভেদ করে অন্তরের কিশতিতে প্রবেশ করবে,সেদিন তোমাদের
ধ্বংশ অনিবার্য।
দুনিয়ার ভালোবাসার মত্ত হয়ো না (১ মেগাবাইট)
............................................................................................................
পার্থিব জগতের এসব উপকরন,অর্থ-সম্পদ যতদিন
পর্যন্ত তোমাদের আশেপাশে থাকবে,ততদিন পর্যন্ত
কোনো শঙ্কা নেই।কারন এসব ধন সম্পদ
তোমাদের জীবনতরী চালাবে।কিন্তু যেদিন এসব
ধন সম্পদ তোমাদের চতুর্পাশ ভেদ করে অন্তরের কিশতিতে প্রবেশ করে আর মানুষ যদি
সম্পদের মোহে এমনভাবে উঠেপড়ে লাগে যে,অস্থিমজ্জায় এখন
শুধু সম্পদের ভাবানা ছাড়া আর কিছুই নেই,তাহলে বুঝতে হবে
কিশতির অন্দরে পানি ঢুকেছে।এই পানি তার জীবন
তরী ধ্বংশ করে তবেই ক্ষান্ত হবে।তখন এই দুনিয়া তার
জন্য বিবেচিত হবে “মাতাউন গুরুর”
বা ধোকার উপকরনরুপে।প্রতিভাত হবে তার
জন্য ফিতনা তথা পরীক্ষারুপে।এ চিত্র সম্পর্কে
বলা হয়েছে,দুনিয়াটা মৃত লাশ আর তার প্রার্থী হলো
কুকুরের ন্যায়।যারা দুনিয়াকে
অন্তরে স্থান দিয়েছে,তাদের ক্ষেত্রেই
এমন কথা প্রযোজ্য।
অর্থ সম্পদ (৬৩৩কিলোবাইট)
............................................................................................................
রক্তকনিকা যেভাবে শিরায় শিরায় ছড়িয়ে পড়ে তেমনিভাবে মিথ্যা
আমাদের সমাজের রন্ধে রন্ধে ছড়িয়ে পড়েছে।চলাফেরা উঠা বসায়
সর্বত্র মিথ্যা উচ্চারিত হচ্ছে।অনেক সময়
কৌ্তুকচ্ছলেও আমারা মিথ্যা বলছি।মিথ্যাকে আজ মানুষ
গুনাহই মনে করে না।মানুষের ধারনা
এগুলো আমাদের নেকির মাঝে কোণো প্রভাব ফেলবে না।
মিথ্যা (সাইজ-১মেগাবাইট )
............................................................................................................
ওয়াদা খেলাফ এর এমন অনেক রুপ আছে,যেগুলো আমারা
ওয়াদা খেলাফের তালিকা তেকে বাদ দিয়ে রেখেছি।অথচ,যদি প্রশ্ন করা হয়
ওয়াদা ভঙ্গ করা কেমন উত্তরে সকলে বলবে কবীরা গুনাহ জখন্যতম পাপ।কিন্তু
কার্যক্ষত্রে আমরা মারাত্বক এই গুনাহ থেকে কতটুকু বেচে থাকি?ওয়াদা ভঙ্গের এমন
কিছু দৃষ্টান্ত আছে যেগুলোকে আমারা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গই মনে করি না।
মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিঙ্ক-
প্রতিশ্রুতি (লিঙ্ক পড়ে দেয়া হবে)
............................................................................................................
মানুষের নিকট সবচেয়ে বড় আমানত যা থেকে কেউই মুক্ত নয়,তার অস্তিত্ব,তার জীবন,তার অঙ্গ
প্রত্যঙ্গ তার সময় ও তার সামর্থ.মানুষ মনে করে হাত পা চোখ-কান প্রভৃতির মালিক সে
নিজেই। ধারনা ঠিক নয়।ব্রং এসব কিছু
আমাদের নিকট আমানত।আল্লাহ আমাদের
এগুলো আমাদের ব্যবহারের জন্য দান করেছেন।তাই এই আমানতের
দাবী হলো এগুলো যে কাজে আমাদের দান করা হয়ছে সে কাজের জন্য এইগুলো ব্যবহার করা।তাছাড়া অন্য কাজে
ব্যবহার করলে তখন আমানতের খেয়ানত হবে।
খিয়ানত (১ মেগাবাইট)
............................................................................................................
সমাজ কাকে বলে?ব্যক্তির সমষ্টিকে
সমাজ বলে অতএব যদি সমাজের প্রতিটি সদস্যের মাঝে নিজেকে সংশোধন করার চেতনা চলে আসে,তাহলে গোটা সমাজ
ঠিক হয়ে যাবে।কিন্তু প্রত্যেকে
যদি নিজের চিন্তা ছেড়ে অপরের পেছনে লেগে থাক,তাহলে সমাজশুদ্ধি
কখনো হবে না।
সমাজ সংস্কার (১মেগাবাইট)
............................................................................................................
ইচ্ছা করলে আমরা ব্যবসার মাধ্যম জান্নাতে যেতে পারি নবীদের
সাথে হাশর করার সৌভাগ্য গড়তে পারি।আর চাইলে আমরা একে
জাহান্নামের মাধ্যমও বানাতে পারি।পাপিষ্ঠদের সাথে
হাশর করার দুর্ভাগ্যও অর্জন করতে পারি।উভয়টি আমাদের
পক্ষে সম্ভব।দেখার বিষয় হলো-আমারা
কোনটি গ্রহন করছি,আর কোনটি বর্জন করছি।
ব্যবসায় দ্বীন ও দুনিয়া (৫৯৬ মেগাবাইট)
............................................................................................................
............................................................................................................
............................................................................................................
............................................................................................................
৩. মুসলিম উম্মাহর বর্তমান অবস্থা কোথায়?
............................................................................................................
২. নিজের ভাবনা ভাবুন।
৩. পাপকে ঘৃনা কর পাপীকে নয়।
৪. দ্বীনী মাদরাসাসমূহ দ্বীন হেফাযতের সুদৃড় কেল্লা
৫. রোগ-শোক,দুংখ আল্লাহর নেয়ামত।
৬. হালাল উপার্জন ধরে রাখ।
৭. সুদি পদ্ধতির করুন বাস্তবতা এবং তার বিকল্প-পদ্ধতি
৮. আর নয় সুন্নাত নিয়ে উপহাস।
৯. তাকদীরঃএকটি নিরাপদ ঠিকানা।
১০. ফেতনার যুগঃচেনার উপায় ও বাচার কৌশল।
১১. মরার পূর্বে মরো।
১২. অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন থেকে বেচেঁ থাকুন।
১৩. আধুনিক লেনদেন এবং উলামায়ে কেরামের দায়িত্ব।
............................................................................................................
............................................................................................................
............................................................................................................
অভিজ্ঞতা প্রমান করে যে যদি স্বামী স্ত্রীর অন্তরে
আল্লাহতালার ভয় না থাকে,আল্লাহ্র নিকট
জবাবদিহিতার অনুভূতি যদি জাগরুক না হয় যদি এই উপলব্ধি না থাকে যে আমাদের প্রতিটি
কথা ও কাজের হিসাব পরিপূর্ণভাবে দিতে হবে,তাহলে বাস্তবতা
হলো পরস্পরের অধিকার অনাদায়ী থেকে যায়।তখন স্বামী
স্ত্রীর অধিকার এবং স্ত্রী স্বামীর অধিকার আদায় করতে সক্ষম হয় না।
বিয়ের খুতবা (৩৬০ মেগাবাইট)
............................................................................................................
বড়দের মান্য করা
মান্যকরা (৮৪৩ মেগা)
............................................................................................................
সন্তানের শিক্ষা-দীক্ষা , মাতা পিতার খেদমত, গীবত একটি মারাত্নক গুনাহ, ঘুমানোর আদব, আল্লাহর সাথে সম্পর্ক গড়ার সহজ পদ্ধতি, যবানের হেফাযত, হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এবং বায়তুল্লাহর নির্মান, সময়ের মূল্য দাও, ইসলাম ও মানবাধিকার, শবে বরাতের হাকীকত
পার্ট-১ (৫.৫৬ মেগা)
পার্ট-২ (৬.২৩ মেগা)
............................................................................................................
১. বিনয়ঃ সফলতার সোপান ,
২. হিংসা একটি সামাজিক রক্তক্ষরন,
৩. স্বপ্নের তাৎপয্য,
৪. অলসতার মোকাবেলায় হিম্মত,
৫. পোশাক ইসলাম কি বলে,
ইসলাহী খুতুবাত (২টা ফাইল সাইজ-৬মেগাবাইট+৬ মেগাবাইট)
২. হিংসা একটি সামাজিক রক্তক্ষরন,
৩. স্বপ্নের তাৎপয্য,
৪. অলসতার মোকাবেলায় হিম্মত,
৫. পোশাক ইসলাম কি বলে,
ইসলাহী খুতুবাত (২টা ফাইল সাইজ-৬মেগাবাইট+৬ মেগাবাইট)
............................................................................................................
১. তাওবাঃসকল গুনাহর প্রতিষেধক,
২. মাপে কম দেয়া এবং অপরের অধিকার ক্ষুন্ন করা,
২. মাপে কম দেয়া এবং অপরের অধিকার ক্ষুন্ন করা,
৩. মুসলিম উম্মাহর বর্তমান অবস্থা কোথায়?
ইসলাহী খুতুবাত (২টি ফাইল সাইজ- ৫মেগাবাইট+৮মেগাবাইট)
............................................................................................................
১. পাপাচারের প্রতি
আকর্ষন ধোকা ছাড়া আর কিছু নয়।
২. নিজের ভাবনা ভাবুন।
৩. পাপকে ঘৃনা কর পাপীকে নয়।
৪. দ্বীনী মাদরাসাসমূহ দ্বীন হেফাযতের সুদৃড় কেল্লা
৫. রোগ-শোক,দুংখ আল্লাহর নেয়ামত।
৬. হালাল উপার্জন ধরে রাখ।
৭. সুদি পদ্ধতির করুন বাস্তবতা এবং তার বিকল্প-পদ্ধতি
৮. আর নয় সুন্নাত নিয়ে উপহাস।
৯. তাকদীরঃএকটি নিরাপদ ঠিকানা।
১০. ফেতনার যুগঃচেনার উপায় ও বাচার কৌশল।
১১. মরার পূর্বে মরো।
১২. অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন থেকে বেচেঁ থাকুন।
১৩. আধুনিক লেনদেন এবং উলামায়ে কেরামের দায়িত্ব।
ইসলাহী খুতুবাত (২টা
ফাইল সাইজ- ৮ মেগাবাইট+১০ মেগাবাইট)
............................................................................................................
১. দাওয়াত ও তাবলীগের
মূলনীতি।
২. সুখময় জীবনের
সন্ধানে।
৩. মানুষকে কষ্ট দেয়া।
৪. পাপমক্তির উপায় ও
আল্লাহভীতি
৫. আত্নীয়-স্বজনদের
সঙ্গে সদাচারণ
৬. মুসলিম মুসলিম ভাই
ভাই।
৭. সৃষ্টিকে
ভালোবাসুন।
৮. আলেম ওলামকে
অবজ্ঞা কর না।
৯. গোস্বাকে কাবু করুন।
১০. মুমিন মুমিনের
আয়না।
১১. দুটি ধারা-কিতাবুল্লাহ
ও রিজালুল্লাহ
ইসলাহী খুতুবাত (২টা ফাইল সাইজ-১৭ মেগাবাইট)
............................................................................................................
১. পরিপূর্ন ঈমানের চারটি নিদর্শন
২. মুসলিম ব্যবসায়ীর কর্তব্য
৩. লেনদেন পরিছন্ন রাখুন
৪. সংক্ষেপে ইসলাম
৫. যাকাত কিভাবে আদায় করবেন
৬. কুমন্ত্রনা কি আপনাকে চিন্তিত করে?
৭. গুনাহের ক্ষতিসমূহ
৮. অন্যায় ও অপরাধকে রুখে দিন
৯. জান্নাতের দৃশ্যাবলী
১০. আখেরাতের ভাবনা
১১. অপরকে খুশি করুন
ইসলাহী খুতুবাত (২টা ফাইল সাইজ-৮ এবং ৭
মেগাবাইট)
............................................................................................................
১. দুংখ-দুর্দশা থেকে উত্তরনের পথ
২. রামাযান কিভাবে কাটাবেন
৩. প্রয়োজন মধ্যপন্থা অবলম্বন
৪. সম্পর্ক ঠিক রাখো
৫. মৃতদের দোষ চর্চা করো না
৬. তর্ক- বিবাদ ও মিথ্যাচার।
৭. দ্বীন কিভাবে শিখবে ও শেখাবে?
৮. ইস্তেখারার সুন্নাত পদ্ধতি
৯. উপকারের বিনিময়ে উপকার
১০. মসজিন নির্মানের গুরুত্ব
১১. হালাল উপার্জন করুন
১২. গুনাহর অপবাদ থেকে আত্নরক্ষা
১৩. বড়কে সন্মান করা
১৪. কুরান শিক্ষার গুরুত্ব
১৫. মিথ্যা পরিচয় থেকে দূরে থাকুন
১৬. দুঃশাসন চেনার উপায়।
১৭. আত্নত্যাগ ও পরোপকারের ফযিলত
ইসলাহী খুতুবাত (২টা ফাইল সাইজ-৮ এবং ৭ মেগাবাইট)
No comments:
Post a Comment