আহলে হাদীস নামধারী কিছু লোকের প্রচারিত ফেতনার জবাব.....
আসসালামু আলাইকুম,
নিচের পোষ্টে আমি কিছু জবাব দিয়েছিলাম। কিন্তু পোষ্টের লেখক আমার প্রশ্নের জবাব তো দেননি উল্টো আমার প্রশ্নগুলো মুছে দিয়ে আমাকে ব্লক করে দিয়েছেন।
তাই নিজের ইমানী দায়িত্ব হিসেবে আপনাকে উক্ত পোষ্টের জবাব এবং কিছু লিঙ্ক দিলাম। দয়া করে দেখবেন....
১ নং: :
উনি ওখানে ওজুর বর্ণনা দিয়েছেন কিন্তু ঘার মাসেহর কোন বর্ণনা দেন নি...
অথচ, মাথা ও কান মাসেহ করার পর ভেজা হাত দিয়ে গদান মাসেহ করার কথা হাদীসে উল্লেখ আছে।
মুসা ইবনে তালহা বলেন,
যে গর্দানসহ মাথা মাসেহ করবে সে কেয়ামতের দিন গলায় বেড়ি পরানো থেকে মুক্ত থাকবে।
হাফেয ইবনে হাজার রহ. বলেন, বর্ণনাটি সম্পর্কে একথা বলা যায় যে, যদিও তা একজন তাবেয়ীর কথা হিসেবে পাওয়া যায় কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে তা রাসূলূল্লাহর হাদীস হিসেবে গণ্য হবে। কেননা, তিনি ছাড়া অন্য কারো পক্ষে এমন সংবাদ দেওয়া সম্ভব নয়।
(আত-তালখীছুল হাবীর : ১/৯২)
আল্লামা বাগাভী রহ., ইবনে সাইয়িদুন্নাস রহ., শাওকানী রহ. প্রমুখও অযুতে গর্দান মাসেহ করার কথা বলেছেন। (নায়লুল আওতার : ১/২০৪)
নওয়াব সিদ্দীক খান এই মতকে সমর্থন করে লিখেছেন যে,
“গর্দান মাসেহ করাকে বিদায়াত বলা ভুল। আত-তালখীছুল হাবীব গ্রন্থের উপরোক্ত রেওয়ায়েত এবং এ বিষয়ের অন্যান্য রেওয়ায়েত দলীল হিসেবে গ্রহনযোগ্য। তাছাড়া এর বিপরীতে বক্তব্য কোন হাদীসে আসেনি।”
(বুদূরুল আহিল্লাহ, পৃ: ২৮)
২ নং: :
উনি বলেছেন..
৪) বুকের উপর হাত রাখাঃ
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নামাযে দাঁড়ানো অবস্থায় ডান হাত বাম হাতের উপর রেখে বুকের উপর স্থাপন করতেন। (আবু দাউদ-নাসাঈ) বুকের উপর হাত রাখাটাই ছহীহ হাদীছ দ্বারা সাব্যস্ত। এছাড়া অন্য কোথাও রাখার হাদীছ হয় দুর্বল, না হয় ভিত্তিহীন।
এর জবাবে আপনি এই পোষ্টগুলো দেখতে পারেন....
৩ নং :
৮) মুক্তাদীর জন্য সূরা ফাতিহা পাঠ জরুরীঃ
ইমামের পিছনে মুক্তাদীও সূরা ফাতিহা পাঠ করবে। কারণ রাসূল (সাঃ) এর বাণী “যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পাঠ করবেনা, তার নামায হবেনা।” (বুখারী-মুসলিম) এ কথাটি ইমাম, মুক্তাদী এবং একাকী নামায আদায়কারী সবাইকে অন-র্ভুক্ত করে। কাজেই সকলকেই সূরা ফাতিহা পাঠ করতে হবে। যেসমস্ত নামাযে ইমাম স্বরবে কিরাত পাঠ করেন, সে সমস্ত নামাযে মুক্তাদী ইমামের কিরাত শ্রবন করবে এবং নীরবে শুধুমাত্র সূরা ফাতিহা পাঠ করবে। অন্যান্য সূরা পাঠ থেকে বিরত থাকবে।
এর জবাবে এই পোষ্টগুলো দেখুন...
ইমামের পিছনে মুক্তাদীর সুরা ফাতিহা পড়া আর না পড়া - ২য় পর্ব -
ইমামের পিছনে মুক্তাদীর সুরা ফাতিহা পড়া আর না পড়া - ৩য় পর্ব -
ইমামের পিছনে মুক্তাদীর সুরা ফাতিহা পড়া আর না পড়া - শেষ পর্ব -
৪নং :
৯) সূরা ফাতিহা শেষে ইমাম-মুক্তাদী সবাই শব্দ করে আমীন বলবেঃ
এর জবাবে এই পোষ্টটি দেখুন.....
এখানে সুরা ফাতিহা শেষে আমিন বলা নিয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে।
এখানে সুরা ফাতিহা শেষে আমিন বলা নিয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে।
৫নং :
১৩) নামাযে রফে ইয়াদাইন করাঃ
এর জবাবে এই পোষ্টটি দেখুন.....
রফে ইয়াদাইন সম্পর্কে দলীলগুলো
রফে ইয়াদাইন সম্পর্কে দলীলগুলো
৬নং :
তিনি মাটিতে হাটু রাখার পূর্বে হস্তদ্বয় রাখতেন। (ইবনু খুযাইমাহ)
এর জবাব হল ...
1. হযরত ওয়াইল ইবনে হুজর রা. বলেন-
আমি রাসূল সা.-কে দেখেছি তিনি সেজদায় যেতেন তখন হাত রাখার আগে হাটু রাখতেন। আর যখন সেজদা থেকে উঠতেন তখন হাটুর পূর্বে হাত উঠাতেন।
(আবু দাউদ(হাদীস নং-838), তিরমিযী শরীফ (হাদীস নং-268), নাসায়ী শরীফ (হাদীস নং-1089), ইবনে মাজাহ শরীফ (হাদীস নং-882), ইবনে খুযায়মা (হাদীস নং-626), ইবনে হিব্বান (হাদীস নং-1909) ও ইবনুস সাকান (দ্র: আছারুস সুনান, পৃ:148)
তিরমিযী বলেছেন, এটি হাসান গারীব।
2. হযরত আনাস রা. বলেন,
আমি রাসূলুল্লাহ সা.-কে দেখলাম, তিনি তাকবীর দিয়ে সেজদায় গেলেন এবং হাত রাখার আগে হাটু রাখালেন।
দারাকুতনী, হাকেম ও বায়হাকী (দ্র: আছারুস সুনান, পৃ: 147)
3. হযরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রা. বলেন,
আমরা হাটুর পূর্বে হাত রাখতাম। পরে আমাদেরকে নির্দেশ দেয়া হল, হাতের পূর্বে হাটু রাখবে।
সহীহ ইবনে খুযায়মা, (হাদীস নং-628)
কোন কোন বর্ণনায় প্রথমে হাত তারপর হাটু রাখার কথাও এসেছে। কিন্তু অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের মতে তা সহীহ নয়। এ ব্যাপারে কিছুটা মতপার্থক্য রয়েছে।
(ইবনুল কায়্যিম, যাদুদ মায়াদ 1/215-224, হাবিবুর রহমান আযমী রহ. মাকালাতে আবুল মাআসির 1/149-174)
বিচারের দায়িত্ব আপনাদের হাতে ......
উক্ত ব্লগার যে দলের অনুসারী তাদের সম্পর্কে জানতে নিচের পোষ্টগুলো দেখুন এবং যাচাই করুন....
Assalamualaikum ask sumon viy,ekhane je link gula dicen ter onektate page show korche na... beparta ektu dekhben plz...onek confusion er moddhe achi
ReplyDelete