ইরানের কথাবর্তায় মনে হয়, এরা পাক্কা মার্কিন এবং ইসরাঈল বিরোধী। অথচ তাদের কাজ কর্মে তা প্রকাশ পায় না।
যেমন- গত ইরাক বিরোধী যুদ্ধে (Iran–Iraq War, যা “প্রথম পার্সিয়ান গাল্ফ ওয়ার” নামেও পরিচিত, ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৮০ থেকে ২০ আগস্ট ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ সাত বছর, ১০ মাস, ৪ সপ্তাহ ১দিন ধরে চলেছিল।) সেখানে ইরানের পক্ষ থেকে “শয়তানের বুযুর্গ” নাম দেয়া আমেরিকা ও তার অনুচর ইসরাঈলীদের কাছ থেকে ইরানীরা অস্ত্র কিনেছিল।
(সূত্রঃ wikipedia : Israeli support for Iran during the Iran Iraq war)।
৭৫ মিলিয়ন ইউ.এস. ডলার সমমূল্যের অস্ত্র কিনেছিল ইরান ইসরাঈলের কাছ থেকে। According to Ronen Bergman, Israel sold Iran US$75 million worth of arms from stocks of Israel Military Industries, Israel Aircraft Industries and Israel Defense Forces stockpiles, in their Operation Seashell in 1981.
(সূত্রঃ Ronen Bergman, “The Secret War with Iran”, Free Press, 2008, p.40-48)।
বলা হয়ে থাকে যে, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর এতো ভয়াবহ যুদ্ধ আর সংঘটিত হয়নি। অ্যারিয়াল শ্যারন মনে করতেন যে, ইরানকে তাদের এই সহায়তার মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় একটি সম্ভাবনা দেখা দিবে। Ariel Sharon believed it was important to "leave a small window open" to the possibility of good relations with Iran in the future.
(সূত্রঃ Parsi, Trita “Treacherous Alliance: The secret dealings of Israel, Iran and the United States”, by Trita Parsi, Yale University Press, 2007)
ইরানকে সহায়তার আরেকটি কারণ- ইসরাঈল চেয়েছিল সাদ্দাম হোসেনের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে!!!
➲➲ইরাকে মার্কিস পলিসি এবং ইরানী পলিসিঃ
পরবর্তীতে আমেরিকার দ্বারা সাদ্দাম হোসেনের পতন ঘটানোর পর বর্তমানে ইরাকী শী’আরা ইরানী ও মার্কিনীদের মদদ নিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে।
ইরাকে মার্কিন পলিসি ছিলঃ তারা তেল লুট করবে, জায়োনিস্টরা এভাবে শত্রু ঘাটি করায়ত্ব করে ইসরাঈলকে নিরাপদ করবে, শী’আদের ক্ষমতায় বসিয়ে শী’আ-সুন্নীর মধ্যে বিরোধ জিইয়ে রেখে ‘Divide & Rule’ নীতির বাস্তবায়ন করবে।
অন্যদিকে ইরানী পলিসি ছিলঃ সুন্নী সমর্থকদের হটিয়ে ক্ষমতায় যাবে, সুন্নীদের মধ্যে শী’আ ধর্ম প্রচার করবে, সুন্নী বিদ্রোহীদের সমূলে ধ্বংস করবে, এবং পরবর্তীতে মধ্যপ্রাচ্যে শী’আ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করবে। আর এই স্বার্থে আমেরিকার সাথে উপরে উপরে বৈরীতা দেখালেও তাদের মধ্যে অঘোষিত ও অপবিত্র সখ্যতা রয়েছে। তবে শী’আদের এই স্বার্থ বাস্তবায়ন করতে আমেরিকা দিবে না। ওদের কাজ সম্পন্ন হলে ছুড়ে ফেলে দিবে।।
➲➲আফগানিস্তানে ‘তালেবান’ পতনে ব্রাক্ষ্মণ্যবাদী ভারত, আমেরিকার সাথী ইরানঃ
ইরানের বন্ধু রাষ্ট্র বারত ও আপাতঃ শত্রু আমেরিকার সাথে কৌশলগত সখ্যতা স্থাপন করে আফগানিস্তানে তালেবানদের পতন ঘটিয়ে ইরান খোশ মেজাজে থাকলেও তারা সেখানে তাদের শী’আ ধর্ম প্রচার করতে পারেনি।
➲➲পাকিস্তানে শী’আ বিরোধী সুন্নী বিদ্রোহী দমনে ইরানের তৎপরতাঃ
মাওলানা হক নাওয়াজ জাঙ্গভী (রহ.), মাওলানা জিয়া-উর-রেহমান ফারুকী (রহ.), মাওলানা ঈসার-উল-হক কাসেমী (রহ.) এবং মাওলানা আজম তারেক (রহ.) শহীদানের দ্বারা ১৯৮৫ সালে “আঞ্জুমানে সিপাহ-ই সাহাবা” সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ‘সিপাহ-ই-সাহাবা পাকিস্তান’ [Sipah-e-Sahaba Pakistan (SSP)] পারভেজ মোশাররফের পাকিস্তানী সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ হয় ২০০২। পরবর্তীতে তারা অযুহাত ছিল, শী’আ সম্প্রদায়ের উপর সন্ত্রাসী আক্রমণ। সিপাহ-ই-সাহাবাদের দাবী ছিল একটি পাকিস্তানকে একটি সুন্নী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। তাদের অভিযোগ ছিল, পাকিস্তানে শী’আদের বেশি ফ্যাসিলিটি দেওয়া হচ্ছে। তারা পাকিস্তানে ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠায় এই দল প্রতিষ্ঠা করেন।
নিষিদ্ধ ঘোষিত হবার পর তারা “মিল্লাত-ই-ইসলামীয়া” মানে দলের কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। ১৯৯৩ সালে পাঞ্জাবে তারা কোয়ালিশন সরকারও গঠন করে। মাওলানা হক নাওয়াজ জাঙ্গভী (রহ.)-কে হত্যা করা হয় ১৯৯০তে, ১৯ জানুয়ারী ১৯৯৭ বোমা বিস্ফোরনে হত্যা করা হয় মাওলানা জিয়া-উর-রেহমান ফারুকী (রহ.)কে, মাওলানা আজম তারেক (রহ.) ২০০৩ সালের ৪ অক্টোবর মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তিনি ইসলামাবাদের কাছে শী’আ সন্ত্রাসীদের আক্রমণে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। এই আক্রমণের জন্য শী’আ নেতা সাজিদ নাকভী-কে কয়েকদিন পরই গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু মামলা এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। ইরানের মদদপুষ্ট পাকিস্তানে শী’আদের বিভিন্ন দল তৎপর রয়েছে।
➲➲লেবাননে ইরানের পক্ষ থেকে শী’আদের তৎপরতাঃ হিজবুল্লাহ
লেবাননি শিয়া সংগঠন ‘হিযবুল্লাহ’। ‘হিযবুল্লাহ’র প্রধান হাসান নাসরুল্লা। ‘হিযবুল্লাহ’র প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৮২-তে, তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে তার অনুপ্রবেশ ঘটে ১৯৮৫-তে। ইরানের মদদপুষ্ট সংগঠন ‘হরকতে আমালুল আশ-শী’ইয়্যাহ্ লিবানিনিয়্যাহ্’ যার অর্থ হলো- “লেবাননি শী’আদের স্বার্থ বাস্তবায়নকারী আন্দোলন” থেকেই ‘হিযবুল্লাহ’র জন্ম। ‘হরকতে আমালে’র প্রতিষ্ঠাতা ইরানি বংশোদ্ভূত মুসা সদর (জন্ম- ১৯২৮), যার সাথে রয়েছে খোমেনীর আত্মীয়তার সম্পর্ক। ‘মুসা সদর’ দক্ষিণ লেবানন, বৈরুত ও বেক্কা প্রদেশে ‘হরকতে আমাল’ নামে যে সশস্ত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন, তা প্রথমে দেশের জাতীয় সেনাবাহিনীর সহযোগী ছিল।
এরপর বৃহৎ লক্ষ্যে এ নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় “আমালুল ইসলামিয়্যাহ্”। নাম পরিবর্তনের কারণ- লেবানন ও অন্যান্য মুসলিম দেশে শী’আ মতবাদ প্রচারে ‘আমালুল ইসলামিয়া’কে মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। দক্ষিণ বৈরুতে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির “বারাজানাহ ক্যাম্পে” নিরীহ নিরপরাধ নিরস্ত্র সুন্নী মুসলিমদেরকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করেছে এরা। হলুদ সাংবাদিকতার কল্যাণে তারাই আজ একেকজন বীর মুজাহিদ! ১৯৮৫ সালে ফিলিস্তিনিদের উপর মুসা সদরের অত্যাচার ছিল পীড়াদায়ক।
অঘোষিত বন্ধুত্ব থেকে একটি ঘোষিত বন্ধুত্বের কথা বলি। গত ২৩ জানুয়ারী ২০১৪ আল জাজিরা থেকে একটি খবর প্রকাশ হয়েছে যার শিরোনাম হলো Rouhani: Possible to end US-Iran animosity, Iranian president hints that more than three decades of enmity with Washington could be overcome. অর্থাৎ ইরানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানী আশা প্রকাশ করে বলেছেন, গত তিন দশকের মার্কিনীদের সাথে ইরানের শত্রুতার অবসানের সম্ভাবনা রয়েছে। সংবাদটি আল জাজিরা সহ রয়টার্সও প্রকাশ করেছে। প্রেসিডেন্ট বলেনঃ “No animosity lasts eternally, no friendship either lasts eternally. So we have to transform animosities into friendship.” তিনি একটি ইংরেজী বার্তায় বলেনঃ “I would like to say to American people: I bring peace and friendship from Iranians to Americans.”
চলবে. . .
যেমন- গত ইরাক বিরোধী যুদ্ধে (Iran–Iraq War, যা “প্রথম পার্সিয়ান গাল্ফ ওয়ার” নামেও পরিচিত, ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৮০ থেকে ২০ আগস্ট ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ সাত বছর, ১০ মাস, ৪ সপ্তাহ ১দিন ধরে চলেছিল।) সেখানে ইরানের পক্ষ থেকে “শয়তানের বুযুর্গ” নাম দেয়া আমেরিকা ও তার অনুচর ইসরাঈলীদের কাছ থেকে ইরানীরা অস্ত্র কিনেছিল।
(সূত্রঃ wikipedia : Israeli support for Iran during the Iran Iraq war)।
৭৫ মিলিয়ন ইউ.এস. ডলার সমমূল্যের অস্ত্র কিনেছিল ইরান ইসরাঈলের কাছ থেকে। According to Ronen Bergman, Israel sold Iran US$75 million worth of arms from stocks of Israel Military Industries, Israel Aircraft Industries and Israel Defense Forces stockpiles, in their Operation Seashell in 1981.
(সূত্রঃ Ronen Bergman, “The Secret War with Iran”, Free Press, 2008, p.40-48)।
বলা হয়ে থাকে যে, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর এতো ভয়াবহ যুদ্ধ আর সংঘটিত হয়নি। অ্যারিয়াল শ্যারন মনে করতেন যে, ইরানকে তাদের এই সহায়তার মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় একটি সম্ভাবনা দেখা দিবে। Ariel Sharon believed it was important to "leave a small window open" to the possibility of good relations with Iran in the future.
(সূত্রঃ Parsi, Trita “Treacherous Alliance: The secret dealings of Israel, Iran and the United States”, by Trita Parsi, Yale University Press, 2007)
ইরানকে সহায়তার আরেকটি কারণ- ইসরাঈল চেয়েছিল সাদ্দাম হোসেনের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে!!!
➲➲ইরাকে মার্কিস পলিসি এবং ইরানী পলিসিঃ
পরবর্তীতে আমেরিকার দ্বারা সাদ্দাম হোসেনের পতন ঘটানোর পর বর্তমানে ইরাকী শী’আরা ইরানী ও মার্কিনীদের মদদ নিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে।
ইরাকে মার্কিন পলিসি ছিলঃ তারা তেল লুট করবে, জায়োনিস্টরা এভাবে শত্রু ঘাটি করায়ত্ব করে ইসরাঈলকে নিরাপদ করবে, শী’আদের ক্ষমতায় বসিয়ে শী’আ-সুন্নীর মধ্যে বিরোধ জিইয়ে রেখে ‘Divide & Rule’ নীতির বাস্তবায়ন করবে।
অন্যদিকে ইরানী পলিসি ছিলঃ সুন্নী সমর্থকদের হটিয়ে ক্ষমতায় যাবে, সুন্নীদের মধ্যে শী’আ ধর্ম প্রচার করবে, সুন্নী বিদ্রোহীদের সমূলে ধ্বংস করবে, এবং পরবর্তীতে মধ্যপ্রাচ্যে শী’আ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করবে। আর এই স্বার্থে আমেরিকার সাথে উপরে উপরে বৈরীতা দেখালেও তাদের মধ্যে অঘোষিত ও অপবিত্র সখ্যতা রয়েছে। তবে শী’আদের এই স্বার্থ বাস্তবায়ন করতে আমেরিকা দিবে না। ওদের কাজ সম্পন্ন হলে ছুড়ে ফেলে দিবে।।
➲➲আফগানিস্তানে ‘তালেবান’ পতনে ব্রাক্ষ্মণ্যবাদী ভারত, আমেরিকার সাথী ইরানঃ
ইরানের বন্ধু রাষ্ট্র বারত ও আপাতঃ শত্রু আমেরিকার সাথে কৌশলগত সখ্যতা স্থাপন করে আফগানিস্তানে তালেবানদের পতন ঘটিয়ে ইরান খোশ মেজাজে থাকলেও তারা সেখানে তাদের শী’আ ধর্ম প্রচার করতে পারেনি।
➲➲পাকিস্তানে শী’আ বিরোধী সুন্নী বিদ্রোহী দমনে ইরানের তৎপরতাঃ
মাওলানা হক নাওয়াজ জাঙ্গভী (রহ.), মাওলানা জিয়া-উর-রেহমান ফারুকী (রহ.), মাওলানা ঈসার-উল-হক কাসেমী (রহ.) এবং মাওলানা আজম তারেক (রহ.) শহীদানের দ্বারা ১৯৮৫ সালে “আঞ্জুমানে সিপাহ-ই সাহাবা” সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ‘সিপাহ-ই-সাহাবা পাকিস্তান’ [Sipah-e-Sahaba Pakistan (SSP)] পারভেজ মোশাররফের পাকিস্তানী সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ হয় ২০০২। পরবর্তীতে তারা অযুহাত ছিল, শী’আ সম্প্রদায়ের উপর সন্ত্রাসী আক্রমণ। সিপাহ-ই-সাহাবাদের দাবী ছিল একটি পাকিস্তানকে একটি সুন্নী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। তাদের অভিযোগ ছিল, পাকিস্তানে শী’আদের বেশি ফ্যাসিলিটি দেওয়া হচ্ছে। তারা পাকিস্তানে ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠায় এই দল প্রতিষ্ঠা করেন।
নিষিদ্ধ ঘোষিত হবার পর তারা “মিল্লাত-ই-ইসলামীয়া” মানে দলের কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। ১৯৯৩ সালে পাঞ্জাবে তারা কোয়ালিশন সরকারও গঠন করে। মাওলানা হক নাওয়াজ জাঙ্গভী (রহ.)-কে হত্যা করা হয় ১৯৯০তে, ১৯ জানুয়ারী ১৯৯৭ বোমা বিস্ফোরনে হত্যা করা হয় মাওলানা জিয়া-উর-রেহমান ফারুকী (রহ.)কে, মাওলানা আজম তারেক (রহ.) ২০০৩ সালের ৪ অক্টোবর মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তিনি ইসলামাবাদের কাছে শী’আ সন্ত্রাসীদের আক্রমণে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। এই আক্রমণের জন্য শী’আ নেতা সাজিদ নাকভী-কে কয়েকদিন পরই গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু মামলা এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। ইরানের মদদপুষ্ট পাকিস্তানে শী’আদের বিভিন্ন দল তৎপর রয়েছে।
➲➲লেবাননে ইরানের পক্ষ থেকে শী’আদের তৎপরতাঃ হিজবুল্লাহ
লেবাননি শিয়া সংগঠন ‘হিযবুল্লাহ’। ‘হিযবুল্লাহ’র প্রধান হাসান নাসরুল্লা। ‘হিযবুল্লাহ’র প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৮২-তে, তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে তার অনুপ্রবেশ ঘটে ১৯৮৫-তে। ইরানের মদদপুষ্ট সংগঠন ‘হরকতে আমালুল আশ-শী’ইয়্যাহ্ লিবানিনিয়্যাহ্’ যার অর্থ হলো- “লেবাননি শী’আদের স্বার্থ বাস্তবায়নকারী আন্দোলন” থেকেই ‘হিযবুল্লাহ’র জন্ম। ‘হরকতে আমালে’র প্রতিষ্ঠাতা ইরানি বংশোদ্ভূত মুসা সদর (জন্ম- ১৯২৮), যার সাথে রয়েছে খোমেনীর আত্মীয়তার সম্পর্ক। ‘মুসা সদর’ দক্ষিণ লেবানন, বৈরুত ও বেক্কা প্রদেশে ‘হরকতে আমাল’ নামে যে সশস্ত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন, তা প্রথমে দেশের জাতীয় সেনাবাহিনীর সহযোগী ছিল।
এরপর বৃহৎ লক্ষ্যে এ নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় “আমালুল ইসলামিয়্যাহ্”। নাম পরিবর্তনের কারণ- লেবানন ও অন্যান্য মুসলিম দেশে শী’আ মতবাদ প্রচারে ‘আমালুল ইসলামিয়া’কে মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। দক্ষিণ বৈরুতে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির “বারাজানাহ ক্যাম্পে” নিরীহ নিরপরাধ নিরস্ত্র সুন্নী মুসলিমদেরকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করেছে এরা। হলুদ সাংবাদিকতার কল্যাণে তারাই আজ একেকজন বীর মুজাহিদ! ১৯৮৫ সালে ফিলিস্তিনিদের উপর মুসা সদরের অত্যাচার ছিল পীড়াদায়ক।
অঘোষিত বন্ধুত্ব থেকে একটি ঘোষিত বন্ধুত্বের কথা বলি। গত ২৩ জানুয়ারী ২০১৪ আল জাজিরা থেকে একটি খবর প্রকাশ হয়েছে যার শিরোনাম হলো Rouhani: Possible to end US-Iran animosity, Iranian president hints that more than three decades of enmity with Washington could be overcome. অর্থাৎ ইরানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানী আশা প্রকাশ করে বলেছেন, গত তিন দশকের মার্কিনীদের সাথে ইরানের শত্রুতার অবসানের সম্ভাবনা রয়েছে। সংবাদটি আল জাজিরা সহ রয়টার্সও প্রকাশ করেছে। প্রেসিডেন্ট বলেনঃ “No animosity lasts eternally, no friendship either lasts eternally. So we have to transform animosities into friendship.” তিনি একটি ইংরেজী বার্তায় বলেনঃ “I would like to say to American people: I bring peace and friendship from Iranians to Americans.”
চলবে. . .
Read more ...