সহীহ হাদিস সরাসরি অনুসরন করা যাবে কিনা ?
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
যেকোন মুসলমানকেই কোরআন এবং হাদিস অনুসরন করতে হবে । কিন্তু কিভাবে ?
সেভাবেই
যেভাবে কোরআন হাদিসকে অনুসরন করতে বলা হয়েছে । যেভাবে সাহাবীরা,
তাবেয়ীরা ,
তাবে-তাবেয়ীনরা
, পূরবর্তী ওলামায় কিরাম অনুসরন করেছেন ।
যেমন একটি উদাহরন দেয়া যাক ।
বর্তমানে দেখা যায় অনেকেই সিহাহ সিত্তা বা অন্য কোন হাদিস শরীফের কিতাব পড়ে
কোন একটি নতুন হাদিস শরীফ সম্বন্ধে জানল ।
বিষয়টি হয়ত তার কাছে নতুন অথবা তার প্রতিষ্ঠিত কোনো মতের সাথে সাংঘর্ষিক । এখন সে কি করবে ?
যেহেতু এটি
সহীহ হাদিস স্বভাবতই সবাই বলবেন এই হাদিস শরীফের ওপরই আমল করা উচিত । আসলেই কি তাই ?
আসুন নীচের
পরিস্হিতি বিচার বিশ্লেষন করে দেখা যাক :
প্রথম পরিস্হিতি :
হাদিস শরীফ: হযরত হুযায়ফা (রা:) থেকে বর্নিত , তিনি বলেন “রসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম একবার এক সম্প্রদায়ের আবর্জনা ফেলার স্হানে গমন
করলেন । সেখানে এসে তিনি
এর ওপর দাড়িয়ে প্রস্রাব করলেন ।
…. ( তিরমিযী শরীফ ১৩ নং হাদিস )
এখন মনে করুন আপনি এই হাদিস শরীফ পড়লেন এবং সবাইকে বললেন রসুল (সা:) যেহেতু
দাড়িয়ে প্রস্রাব করেছেন এবং এটা সহীহ হাদিস তাই এই হাদিসের ওপর আমল করাতে কোনো
অসুবিধা নেই।
এখন কিছুদিন পর আপনি তিরমিজী শরীফ আবার খুলে পড়া শুরু করলেন এবং এই হাদিসটি
পেলেন :
হাদিস শরীফ: হযরত আয়েশা (রা:) থেকে বর্নিত তিনি বলেন “যে তোমাদের কাছে
বর্ননা করবে যে রসুল (সা:) দাড়িয়ে প্রস্রাব করতেন , তোমরা তার কথা
বিশ্বাস করবে না । তিনি কেবল বসেই
প্রস্রাব করতেন । ( তিরমিযী শরীফ ১২ নং
হাদিস )
দ্বিতীয় নং হাদিস শরীফ পড়ে আপনি তো মহা সমস্যায় পড়লেন । কেননা আপনি প্রথম
হাদিস শরীফ পড়ে আমল করেছেন এবং আপনার হয়ত আরো বন্ধুদের বলেছেন । কিন্তু দেখা গেলো
দুটো হাদিস শরীফ সহীহ হওয়া সত্বেও সাংঘর্ষিক ।
চলুন আমরা দেখি আসলে ব্যাপারটা কি ।
বিস্তারিত পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন ... সহীহ হাদিস সরাসরি অনুসরন করা যাবে কিনা
বিস্তারিত পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন ... সহীহ হাদিস সরাসরি অনুসরন করা যাবে কিনা
ধুর এখানে শেষ করলে কি হত....
ReplyDelete